সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না, সংশয় সুজনের

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সেই সঙ্গে প্রচারের ক্ষেত্রে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব আর আচরণবিধি লঙ্ঘন এই সংশয়কে আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিমত তাদের।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের আধিক্য স্থানীয় পর্যায়ে কর্তৃত্ব বাড়াবে উল্লেখ করে সুজন সম্পাদক বলেন, ‘হলফনামার তথ্য নিয়ে এবার যথেচ্ছাচার হয়েছে। যে যা পেরেছে তথ্য দিয়েছে। যেন কেউ নেই, এগুলো খতিয়ে দেখার। প্রার্থীর মধ্যে ব্যবসায়ীর অনুপাত কম দেখা যায়, কিন্তু যাঁরা নির্বাচিত হবেন, দেখা যাবে তাঁদের ৮০ শতাংশই ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু সব ব্যবসায়ীই যদি হয় তবে শুধু ব্যবসায়ীর স্বার্থই তো সেখানে সমন্বিত হবে।’
আর এতে স্থানীয় রাজনীতিকদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেবে উল্লেখ করে বদিউল আলম মজুমদার জানান, এবারের নির্বাচনে প্রধান দুই দলে ৪০ শতাংশ স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষিত প্রার্থী রয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির ৪৬ শতাংশ আর আওয়ামী লীগের ১৩ শতাংশের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আর পেশাগত দিক দিয়ে ৭২ শতাংশ ব্যবসায়ী প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির ৭৮ শতাংশ আর আওয়ামী লীগের রয়েছে ৭৪ শতাংশ প্রার্থী।
এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব আর আচরণবিধি লঙ্ঘনকে বড় অন্তরায় উল্লেখ করে সুজন সম্পাদক জানান, ফেনীতে অধিকাংশ পৌর সভায়ই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে প্রার্থীরা। এমনকি অনেক প্রার্থীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছ।
এ অবস্থায় জনগণ যেন তাদের ভোটাধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারে, সেই পরিবেশ সৃষ্টিরও তাগিদ দিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক।