বাসর রাতে বরের ঝুলন্ত লাশ

অনেক আশা নিয়ে দাম্পত্য জীবনে জুটি বেঁধেছিলেন দুজন। সারা জীবন একসঙ্গে কাটানোর অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু মেহেদির রং না মুছতেই বিধবা হলেন নববধূ সীমা খাতুন।
বাসর রাতেই বর আজিরুল ইসলামের (২৫) ঝুলন্ত লাশ মিলেছে বাড়ির সিঁড়িঘরে। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামে।
আজ শুক্রবার ভোর রাতে আজিরুলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। আজিরুল বুড়িপোতা গ্রামের আবদুল বারীর ছেলে।
পরিবারের সদস্য ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলার শালিকা গ্রামের ইসরাফিল ইসলামের মেয়ে সীমার সঙ্গে আজিরুলের বিয়ে হয়। সন্ধ্যায় নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফেরে বরপক্ষ। রাতে বাসরঘরে বর-কনেকে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন।
নববধূ সীমা খাতুন জানান, ভোর ৪টার দিকে আজিরুল বাইরে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও স্বামী না আসায় তিনি বিষয়টি শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জানান। পরে পরিবারের সদস্যরা বাড়ির সিঁড়িঘরে আজিরুলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
সীমা জানান, তাঁর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা বুঝতে পারছেন না।
আজিরুলের পরিবারের বরাত দিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, এর আগে আজিরুলের দুবার বিয়ে হয়েছিল। দুই বউ তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন। পরে আজিরুলের পরিবার বৃহস্পতিবার আবার তাঁকে বিয়ে দেন। দুই বউ ছেড়ে যাওয়ার কষ্টে আজিরুল আত্মহত্যা করতে পারেন।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিক। তিনি জানান, পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।