রুয়েট ছাত্রলীগ নেতা অপহরণ, ২ ছাত্র রিমান্ডে

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান সোহাগ অপহরণের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে আটক দুজনকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ তাঁদের রাজশাহী অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। বিকেলে শুনানি শেষে বিচারক জুলফিকার উল্লাহ তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এঁরা হলেন ঢাকার দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ এলাকার বাসিন্দা রুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার ফারজাদুল ইসলাম মিরন (২৮) ও রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও রুয়েটের সিভিল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইসফাক ইয়াসিফ ইপু (২১)।
রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানান, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোববার সকালে নগরীর নওদাপাড়া এলাকা থেকে রুয়েট শিক্ষার্থী ইসফাক ইয়াসিফ ইপুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফারজাদুল ইসলাম মিরনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানালে বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকালে সোহাগ অপহরণের কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ওসি মাহমুদুর রহমান।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে র্যাবের পোশাকধারী ছয়-সাতজন নগরীর তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় সোহাগের বাড়িতে যান। র্যাবের পোশাক পরা দেখে বাড়ির লোকজন দরজা খুলে দিলে তাঁরা সোহাগের ঘরে ঢুকে ল্যাপটপ ও মোবাইলের মেমোরি কার্ডসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস চায়। সেগুলো নেওয়ার পরই তারা সোহাগকে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরদিন সকালে সোহাগের বাবা ও শ্বশুর র্যাব রাজশাহীর সদর দপ্তর, বোয়ালিয়া থানা, গোয়েন্দা পুলিশ ও মতিহার থানায় খোঁজ নিলেও কোথাও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সোহাগের বাবা। ছেলের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলনও করে সোহাগের পরিবার।
এরপর গত ১৩ ডিসেম্বর রোববার রাতে নগরীর রাজপাড়া থানায় সোহাগের বাবা অপহরণ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা র্যাব ও ডিবি পুলিশের সদস্য এবং সোহাগের সহপাঠী নাবিলাকে আসামি করা হয়। তবে র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে সোহাগকে আটকের বিষয়টি নাকচ করা হয়।