সুন্দরবনে ‘বন্দুকযুদ্ধে দস্যু’ নিহত

সুন্দরবনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সগির ভাণ্ডারী নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জের পানেরহাট এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
র্যাবের দাবি, নিহত সগির ভাণ্ডারী জলদস্যু নয়ন বাহিনীর প্রধান। তিনি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্জকরণ এলাকার বাসিন্দা। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে রামদা, রিভলবার ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৬-এর অপারেশন অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হারুনুর রশিদ বলেন, বন্দুকযুদ্ধের পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সগিরকে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে এর কিছুক্ষণ পরই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
অভিযানের বিষয়ে র্যাব-৬-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রফিকুল হক এনটিভি অনলাইনকে জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ ভোরে র্যাবের একটি দল সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের পানেরহাট এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ওত পেতে থাকা জলদস্যু নয়ন বাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ১৫ মিনিট ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
ডিআইজি আরো জানান, পরে ঘটনাস্থল থেকে র্যাব পাঁচটি দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও সাতটি গুলি উদ্ধার করে। একই সময় ঘটনাস্থল থেকে নয়ন বাহিনীর প্রধান সগির ভাণ্ডারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
বনদস্যু ‘নয়ন বাহিনীর’ সদস্যরা বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন এলাকায় জেলে ও বনজীবীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল বলে র্যাব জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন খুলনা থেকে মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, মংলা থেকে আবু হোসাইন সুমন এবং বাগেরহাট থেকে রবিউল ইসলাম।