আখাউড়া পৌরসভায় লড়াই হবে নৌকা-ধানের শীষে
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/12/26/photo-1451071196.jpg)
জমে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচন। নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকেরা। ভোটারদের ফুল দিয়ে ব্যতিক্রম প্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থীর সমর্থকরা। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় নির্বাচনী আমেজে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে। জেলার পাঁচটি পৌরসভার মধ্যে শুধু আখাউড়ায় নির্বাচন হওয়ায় জেলাবাসীর চোখ এ পৌরসভার দিকেই।
নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে বড় এই দুই দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা। এ নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে।
আখাউড়া পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের তাকজিল খলিফা (নৌকা), বিএনপির মো. মন্তাজ মিয়া (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সালাউদ্দিন আল হুসাইন চৌধুলী (রেল ইঞ্জিন), স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মশিউর রহমান বাবুল (মোবাইল ফোন) ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল ভূইয়া (নারিকেল গাছ)।
এই পৌরসভায় মেয়র পদে কোনো দলে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী নেই। মেয়র পদে বিএনপির একমাত্র ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু ও আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী শেখ বোরহান উদ্দিন আহম্মদ দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
এখানে ৩৯ জন কাউন্সিলর পদে এবং নয়জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের তাকজিল খলিফা এনটিভি অনলাইকে বলেন বলেন, ‘এর আগে আমি দুবার দায়িত্ব পালন করেছি। আমি সব সময় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছি। তা ছাড়া জনগণ জানেন, আমার সময়ে এলাকায় কী পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে। তাই মেয়র হিসেবে জনগণ আমাকেই চাইবে।’
বিএনপির প্রার্থী মো. মন্তাজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের প্রতি জনগণের আস্থা রয়েছে। তা ছাড়া ধানের শীষের পক্ষে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন পর বিএনপির কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তারা অবশ্যই সুযোগটি কাজে লাগাবেন।’
প্রায় ৮ দশমিক ৩৩ বর্গ কিলোমিটার সীমান্তবর্তী এ পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৯৫০ জন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৪৫৮ জন নারী এবং ১২ হাজার ৪৯২ জন পুরুষ ভোটার রয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নয়টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে।