শরীয়তপুরে পুলিশের ওপর হামলা, কাউন্সিলর প্রার্থী গ্রেপ্তার

শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ফারুক চৌকিদার, তাঁর ছোট ভাই ও দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা মামলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
শরীয়তপুর সদর থানা সূত্র জানায়, শরীয়তপুর বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক চৌকিদার শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাঘিয়া এলাকায় ফারুক চৌকিদারের বাড়ির কাছ থেকে পাঁচ বোতল মদসহ তাঁর ছোট ভাই সাদ্দাম চৌকিদারকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ খবর পেয়ে ফারুক চৌকিদার তাঁর সমর্থকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। তখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ডিবি পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফজলুল হক, কনস্টেবল মোস্তাক হোসেন, শিমুল শাহ, লিটন মিয়া ও রবিউল মিয়া আহত হয়। তাঁদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই ফয়সাল হাওলাদার সদর থানায় দুটি মামলা করেন। মামলায় ফারুক চৌকিদারসহ ১৭ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ফারুক চৌকিদার, তাঁর ছোট ভাই সাদ্দাম চৌকিদার, সমর্থক ওহিদুজ্জামান হাওলাদার ও কামাল মাদবরকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ফারুক চৌকিদারের সমর্থকরা শহরের কোটাপাড়া এলাকায় ঢাকা-শরীয়তপুর সড়ক অবরোধ করে রাখে।
ফারুক চৌকিদারের মা ফরিদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় প্রতিপক্ষ এক প্রার্থীর সঙ্গে তার বিরোধ হয়। ওই প্রার্থী ষড়যন্ত্র করে পুলিশ দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘নির্বাচনের সময় কি কেউ মদ নিয়ে ঘোরাঘুরি করে? আমার ছেলে সিগারেট পর্যন্ত খায় না। নির্বাচনে বিশেষ সুবিধা নেওয়ার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
শরীয়তপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ বোতল মদ পেয়েছে। ওই ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য ফারুক চৌকিদার সন্ত্রাসী নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।