জামালপুরে তিন কেন্দ্রে ভোট স্থগিত, পুলিশের গুলি
জামালপুরে পৌর নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত রয়েছে। আজ বুধবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে বাধা, কেন্দ্র দখল, কারচুপির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখল ঠেকাতে দুটি কেন্দ্রে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
ভোট গ্রহণ স্থগিত থাকা কেন্দ্রগুলো হচ্ছে আজাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছনকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বানিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়।
এ ছাড়া মেয়র প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সিংহজানি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ বুধবার সকালে এক ঘণ্টা ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সরিষাবাড়ী উপজেলার গজারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করা হলে পুলিশ নয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সরিষাবাড়ী থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কাশেম জানান, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদরের লাঙ্গলজোড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সকাল ১০টার দিকে জামালপুর সদরের সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টা সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। এ সময় টিয়ার গ্যাসের শেল ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
জামালপুর সদরের বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন অভিযোগ করেন, সকালেই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করে ভোট দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
জামালপুর সদরের জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজুর রহমান বাদশা ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন দেওয়ানগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুন্নবী অপু। তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ নেই। কেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়া হচ্ছে।