উলিপুরে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ, আহত পাঁচ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/12/30/photo-1451470893.jpg)
কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভার একটি কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ দুপুর দেড়টায় নারকেলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুরে সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী কয়ছার আলী ও নুরুল ইসলাম গুল্লুর সমর্থকরা পরস্পরের বিরুদ্ধে ওই ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়ার অভিযোগ আনে। এই অভিযোগে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হন। পরে বিজিবি ও র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া কুড়িগ্রাম পৌরসভার কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকদের বুথে ঢুকে জোর করে ব্যালট ছিড়ে ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে নাগেশ্বরী পৌরসভায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
তিনটি পৌরসভায় দুপুর ২টা পর্যন্ত ৬০ ভাগ ভোট পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী, উলিপুর ও কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৬৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দুপুর পর্যন্ত তিনটি পৌরসভায় ৪৩৪টি বুথে মোট এক লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন ভোটার তাদের ভোট দেন।
সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হলেও শীত ও কনকনে ঠান্ডায় ভোটকেন্দ্রে প্রথম দিকে ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি অতিরিক্ত বাহিনী হিসেবে র্যাব ও বিজিবি টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি তিনটি ভোটকেন্দ্রের জন্য একটি করে মোবাইল টিম সতর্ক রয়েছে।
কুড়িগ্রামের তিনটি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ ১৫ জন মেয়র পদপ্রার্থী, ১৩১ জন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এবং ৪২ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনটি পৌরসভায় ৬৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১০টি।