দলীয় প্রভাবমুক্ত হয়ে জনস্বার্থে কাজ করার ঘোষণা

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও দলীয় প্রভাবমুক্ত হয়েই জনগণের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর বিভিন্ন পৌরসভায় নবনির্বাচিত মেয়ররা। তাঁরা বলেন, পৌরবাসীর সেবা নিশ্চিত করতে কোনো ধরনেরই বৈষম্য করা হবে না।
আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামানের কবর জিয়ারত শেষে মেয়ররা সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
তাহেরপুর পৌরসভায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত মেয়র পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও আমি সবার আগে পৌরবাসীর সেবা করতে চাই। দল মনোনয়ন দিয়ে আমাকে জনগণের কাছে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আর জনগণ ভোট দিয়ে তাদের সেবা ও উন্নয়নের সুযোগ করে দিয়েছে। কাজেই কোনো ধরনের দলবাজি করে আমি পৌরসভা চালাতে চাই না। তবে দলকে যেটুকু সময় দেওয়ার সেটুকু দেব।’
আড়ানী পৌরসভার আওয়ামী লীগের মেয়র মুক্তার আলী বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলাম। পরে প্যানেল মেয়রেরও দায়িত্ব পালন করেছি। কাজে এলাকার সব সমস্যা আমার সামনে পরিষ্কার। আড়ানীকে মডেল পৌরসভা করতে যা যা করার প্রয়োজন, আমি তার সবকিছুই করতে চাই।’
মুণ্ডুমালা পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হয়েছেন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, ‘অতীতেও আমি দলমতের বাইরে থেকে কাউন্সিলরদের এলাকার উন্নয়নে সমান বরাদ্দ দিয়েছি। নারী কাউন্সিলরদেরও ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিয়েছি। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।’
দীর্ঘদিন পর গোদাগাড়ী পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম বাবু। তিনি প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এতদিন এই পৌরসভা বিএনপি-জামায়াতের দখলে ছিল। তারা কোনো উন্নয়ন করেনি। ফলে এলাকার রাস্তাঘাট ও খাওয়ার পানির সমস্যা প্রকট। দায়িত্ব গ্রহণের পর এসব সমাধানে নজর দেব।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ আসাদুজ্জামান আসাদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
গত ৩০ ডিসেম্বর রাজশাহীর ১৩টি পৌরসভার নির্বাচনে নয়টিতে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা।