মাদারীপুরে এনএসআই কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

মাদারীপুরে স্থগিত হওয়া ভোটকেন্দ্র এলাকার নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) এক কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেছে কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনার দুই ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করেছে ওই কর্মকর্তাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনি পৌর নির্বাচনে জনারদন্দী ও কাষ্টগড় কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকে সিল মারার অভিযোগে কেন্দ্র দুটির ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। আর এর পর থেকে এ দুটি কেন্দ্রের বাইরের লোকদের ঢুকতে দিচ্ছিল না স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
এদিকে, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালকিনির হাদীপুর এলাকায় এই ভোটকেন্দ্র দুটিতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যান এনএসআই কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আহম্মেদ। এ সময় আওয়ামী কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদার তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
ঘটনার পর এনএসআই কর্মকর্তা ফিরোজ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে সোহাগ তালুকদার আমাকে চড়-থাপড় মারে। এর পর পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সহকারী পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাটি পুরোপুরি আমি শুনিনি। এ বিষয়ে ওসি ভালো বলতে পারবেন।’ তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ওসি এবং কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বারবার ফোন দিলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেনি।
এ প্রসঙ্গে কালকিনি পৌর নির্বাচনে এগিয়ে থাকা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ বলেন, ‘কালকিনিতে স্থগিত হওয়া দুই নির্বাচনী কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনো লোকজন ঢুকতে দিচ্ছিল না স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রাতে ফিরোজ নামের এক এনএসআই কর্মকর্তা নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে কাষ্টগড় সেন্টারে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদারের নেতাকর্মীরা তাঁকে আটকে রেখে লাঞ্ছিত করে।’
এ বিষয়ে এনএসআইএর সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, ‘সরকারি কাজে আমার অফিসার ফিরোজ কাষ্টগড় এলাকায় স্থগিত হওয়া নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদার ও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এনায়েত হোসেন হাওলাদার মিলে আমার অফিসারের পকেটে টাকা ঢুকিয়ে লাঞ্ছিত করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নির্বাচনের পর থেকেই স্থগিত হওয়া দুই কেন্দ্রের এলাকায় কোনো ব্যক্তিকেই তারা প্রবেশ করতেও দিচ্ছে না, আবার এলাকায় ঢুকতেও দিচ্ছে না।