হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালাল স্বামী

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পলি বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। গৃহবধূর মৃত্যুর পরপরই হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে তাঁর স্বামী জাহাঙ্গীর আকন। পলি বেগমের পরিবারের অভিযোগ, যৌতুক দিতে না পারায় স্বামীর নির্যাতনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ এসে পলি বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জাহাঙ্গীর আকনের বাড়ি সদর উপজেলার চিকন্দী গ্রামে আর পলি বেগমের বাড়ি নড়িয়া উপজেলার কোয়ারাগ গ্রামে। সাত বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বিয়ের সময় পলির পরিবার জাহাঙ্গীর আকনকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়। এর পরও বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য পলির ওপর নির্যাতন করা হতো।
গতকাল সোমবার রাতে যৌতুকের জন্য পলি বেগমকে মারধর করা হয়, তার পর তার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তাঁর মা বুকল বেগম। তিনি জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে পলিকে তার স্বামী জাহাঙ্গীর আকন গুরুতর অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পরই পলি মারা যায়।
বকুল বেগম অভিযোগ করেন, ‘যৌতুক দিতে না পারায় আমার মেয়ের মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
পলি মারা যাওয়ার খবর শুনে তাঁর স্বামী জাহাঙ্গীর আকন ও শাশুড়ি লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পলির পরিবার হাসপাতালে এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ আজ সকালে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।