‘আসামিপক্ষের লোকজনে আদালত চত্বর ঘেরা’

নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার আসামিপক্ষের লোকজন দিয়ে আদালত চত্বর ঘিরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান।
আজ সোমবার নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা ও জেলা জজ-২-এর বিচারক মিয়াজী শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ছিল। শুনানি শেষে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এ অভিযোগ করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আরো বলেন, ‘আজ আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত এবং উদ্বিগ্ন। আজকে বাদীপক্ষ ও আমরা আইনজীবী যাঁরা আছি, আজ আমাদের আদালত প্রাঙ্গণে থাকা এবং বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এদিন সাত খুনের দুটি মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য ২৭ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। প্রধান আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নূর হোসেন, সাবেক র্যাব কর্মকর্তা কমান্ডার এম এম রানা, মেজর আরিফসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল আজ সোমবার। কিন্তু মামলার অন্যতম আসামি চাকরিচ্যুত র্যাব কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। ফলে আজ অভিযোগ গঠন হয়নি।
এ ছাড়া নূর হোসেনের পক্ষে অ্যাডভোকেট খোকন সাহা এবং নূর হোসেনের অপর চার সহযোগীর পক্ষে আইনজীবী আশরাফুজ্জামান জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, ‘আমি আজ জামিন চেয়েছি নূর হোসেনের। বিজ্ঞ আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছেন। আসামি যেহেতু অসুস্থ, তাঁর সুচিকিৎসার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
খোকন সাহা জানান, সাত খুনের এ দুই মামলা ছাড়াও বাকি পাঁচটি মামলায়ও নূর হোসেনের জামিন চাওয়া হয়েছিল এবং আদালত সবকটিতেই তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে সুচিকিৎসার নির্দেশ দেন।
এর আগে নূর হোসেনকে আজ সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে নারায়ণগঞ্জে আনা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সাত খুনের দুটি মামলা ছাড়াও অবৈধ অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে আরো ১১টি মামলা রয়েছে। সাত খুনের মামলা ছাড়াও আজ আরো পাঁচটি মামলায় হাজিরা হয় নূর হোসেনের।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ শহরের কাছ থেকে পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করেন র্যাব-১১-এর কতিপয় সদস্য। এর তিন দিন পর সাতজনেরই মৃতদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যায়।