বিডিআর বিদ্রোহে খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যোগসূত্র আছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এ অভিযোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, দুই মাসও পূর্ণ হয়নি। বিডিআরে বিদ্রোহ হলো। এটা শুধু পিলখানায় এক জায়গায় নয়। সমগ্র বাংলাদেশে এ বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল। আমরা দক্ষতার সাথে সে বিদ্রোহ দমন করেছি মাত্র দুই দিনের মধ্যে। আমি খালেদা জিয়াকে জিজ্ঞাসা করি, তিনি তাঁর ভাষণে দোষারোপ করেন, এটা নাকি আওয়ামী লীগই করেছে। আমরা জনগণের ম্যান্ডেট পেয়ে একটা সরকার গঠন করেছি। সে সরকার কেন একটা বাহিনীতে বিদ্রোহ ঘটাবে। এটা কিন্তু কোনো দিনই কোনো সরকার করতে পারে না। কিন্তু খালেদা জিয়ার কাছে আমার প্রশ্ন।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহ শুরু হলো ৯টার দিকে। খালেদা জিয়া তখন ক্যান্টনমেন্টের বাড়িতে থাকতেন, সে বাড়ি থেকে সাড়ে ৭টা, ৮টার মধ্যেই তিনি বের হয়ে চলে গেলেন আন্ডারগ্রাউন্ডে। তিনি কেন আন্ডারগ্রাউন্ডে গেলেন, এ জবাব জনগণের কাছে তাঁকে দিতে হবে। তাঁর এ বক্তব্য থেকে আজ আমার এটাই প্রতীয়মান হয় যে ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র ছিল এবং তাঁর ছেলে লন্ডন সময় রাত ১টা, ২টা, ৩টা -এ সময় ৪৫ বার ফোন করেছেন বাংলাদেশে। তাঁর মাকে এ সময় বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলেছেন। কেন তাঁর ছেলে তাঁকে খবর দিলেন বাসা থেকে বের হয়ে যেতে। এ রহস্যটা কী? তাহলে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা কার থাকতে পারে? তাঁর নিজেরই থাকতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা সে হত্যাকাণ্ড ও বিদ্রোহের বিচার করেছি। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা তারমধ্যে ৩৩ জনই হচ্ছে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। তাঁদের সেখানে কেন পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল? সেটাও একটা প্রশ্ন।’ তিনি আরো বলেন, সে সময় এ ঘটনা ঘটিয়ে সরকার উৎখাতের যড়যন্ত্রই করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিচার হয়েছে, উচ্চ আদালতে বিচার চলছে। ষড়যন্ত্রেরও মূলোৎপাটন একদিন ইনশাল্লাহ করব।’