থানার পাশেই ঘর গুঁড়িয়ে দখলের চেষ্টা

আদালতে বিচারাধীন একটি জমি দখলের জন্য মেহেরপুর শহরের থানাপাড়ায় আবদুল লতিফসহ তাঁদের চার ভাইয়ের বাড়িঘর ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাঁদের ছয়টি মোবাইল ফোন ও একটি সোনার চেইন লুট করা হয়।
হামলার সময় বাধা দিতে গেলে লতিফের ভাই মোমিন আলীর স্ত্রী মুন্নী আরা আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশ এসে একটি ফাঁকা গুলি ছুড়লে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মেহেরপুর সদর থানার সীমানাপ্রাচীরের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন জানান, আদালতে বিচারাধীন একটি জমি জবর দখল করতে শেখপাড়ার নুরুল খান ও তাঁর ভাই নিজাম খান এবং আবদুল গনির নেতৃত্বে শতাধিক যুবক বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে আবদুল লতিফের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আবদুল লতিফ, তাঁর ভাই আবদুল মোমিন, আবদুল কুদ্দুস ও মাহবুবের টিনের ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেয়। এ সময় বাড়ির লোকজন বাধা দিতে গেলে তাঁদের তালাবদ্ধ করে রাখে। এ ঘটনায় আবদুল মোমিনের স্ত্রী মুন্নী আরা আহত হন। পরে হামলাকারীরা সেখানে পরপর তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পাশ থেকে সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে একটি ফাঁকা গুলিবর্ষণ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল মোমিন বলেন, তাঁর মায়ের নামে থাকা ১৯ শতক জমিতে তাঁরা চার ভাই দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। এর মধ্যে আরএস রেকর্ডে ভুলবশত ৫ শতক জমি খতিয়ানভুক্ত হয়নি। ওই জমি নিয়ে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সেই জমি দখলের জন্য শেখপাড়ার নুরুল খান, তাঁর ভাই নিজাম খান এবং আবদুল গনি দীর্ঘদিন ধরে দখলের পাঁয়তারা করে আসছিলেন।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের কারণে মীমাংসা করার জন্য মাস চারেক আগে দুই পক্ষকে ডেকে থানায় বসেছিলাম। পরে আদালতে মামলা থাকায় বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়।’ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শেখপাড়ার নুরুল খানের নেতৃত্বে শতাধিক যুবক হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করার খবর পেয়ে তাঁর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি ফাঁকা গুলিবর্ষণ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে বোমা হামলা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
ওসি জানান, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের মামলা করতে বলেছি। এ ব্যাপারে মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’