চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট, দুর্ভোগে গ্রাহক

আবারও গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। ফলে দুর্বিষহ অবস্থা বিরাজ করছে সাড়ে পাঁচ লাখ গ্রাহকের মধ্যে। চাঁদপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রেখে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো গেলে সাময়িক সংকট সমাধানে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলতে পারে এমনটি মনে করছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
চট্টগ্রামের গ্যাসের চাহিদা সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। কুমিল্লার বাখরাবাদ থেকে ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ দিয়ে চাহিদার বিপরীতে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ১৮০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। অপ্রতুল গ্যাসের চাহিদা নিয়ে কোনোভাবে চলছে কাফকো সার কারখানা, রাউজান তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট। এ ছাড়া ২০০ শিল্প-কারখানাসহ প্রায় পাঁচ লাখ ৪০ হাজার আবাসিক গ্রাহক। কয়েকদিন ধরে গ্যাসের সরবরাহ কমে আসায় চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট তীব্র হয়েছে। এর ফলে সিএনজি স্টেশনগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দীর্ঘ গাড়ির লাইন পড়ছে।
ছয় মাস আগেও একই সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল চট্টগ্রামে। গ্যাসের অভাবে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বর্তমানে আবাসিক গ্রাহকদেরও সংকট বেড়েছে অনেকগুণ। তাই গ্যাসের জন্য হাহাকার চলছে নগরজুড়ে।
দেশে গ্যাসের উৎপাদন দ্বিগুণ করা হলেও চট্টগ্রামের গ্রাহকদের জন্য চাহিদা অনুযায়ী কখনো গ্যাস সরবরাহ করা হয়নি।তাই এ সংকট ঘনীভূত হয়েছে সব ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ গ্রাহক সমিতির।
গ্রাহক কল্যাণ সমিতির সভাপতি নেছার আহমেদ বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার শিল্পকারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে শিল্পমালিকদের।
তবে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার সুধীর কুমার সাহা রায় জানান, চাঁদপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র সাময়িক বন্ধ রাখা হলে গ্যাস সংকটের কিছুটা হলেও সমাধান সম্ভব। অন্যথায় তারাও অসহায়।