সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত, শুনে কিশোরীর আত্মহত্যা

রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোরের মৃত্যুর সংবাদ শুনে কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। তারা দুজনই একই স্কুলে একই ক্লাসে পড়ত। আজ শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানা এলাকায় ঘটনা দুটি ঘটেছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ওই কিশোরের নাম তূর্য হোসেন। সে নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাহের হোসেন সুজার ছেলে এবং ডাসমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। এ মৃত্যুর খবর শুনে কিশোরী কেয়া খাতুন গলায় ফাঁস ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে। সে একই স্কুলের একই ক্লাসে পড়ত এবং ডাসমারী এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
পুলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুর পৌনে ১টার দিকে তূর্য মোটরসাইকেলযোগে বিনোদপুর বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় মণ্ডলের মোড় এলাকায় ইটবাহী একটি ট্রলির সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত হয় তূর্য। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তূর্যের মৃত্যুর খবর শুনে কেয়া খাতুন নিজ শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস লাগায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে সেও মারা যায়।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, দুটি ঘটনার বিষয়ে থনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় আজ দুপুরে বাসের ধাক্কায় অপর এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম আব্দুল আজিজ (৫০)। তাঁর বাড়ি ওই এলাকায়।
বোয়ালিয়া মডেল থানার (ওসি) শাহাদত হোসেন খান জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খড়খড়ি পেট্রলপাম্প থেকে মোটরসাইকেলে তেল নিয়ে বের হচ্ছিলেন আব্দুল আজিজ। এ সময় পেছন থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস তাঁকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।