যানজট কমাতে পরিবারপ্রতি গাড়ি নির্দিষ্ট করা হবে

যানজট কমাতে এবার পরিবারপ্রতি গাড়ির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা নির্দিষ্ট করতে সরকার একটি আইন প্রণয়নেরও উদ্যোগ নিয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যানজট কমিয়ে আনতে সরকার পরিবারপ্রতি গাড়ির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় এ প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী আজ বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মিটারে চলাচল নিশ্চিতকরণে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, যেসব মালিক অটোরিকশার ভাড়া বা জমা বেশি আদায় করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। পাশাপাশি যারা মিটার টেম্পারিং করছে তাদেরও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা বিধানের পাশাপাশি ফুটপাত দখলমুক্ত করা গেলে ঢাকা মহানগরীর যানজট অনেকটাই কমানো সম্ভব। তিনি মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর ফুটপাত পুনরুদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অনুরোধ জানান।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনো কিছু কিছু অটোরিকশা চুক্তিতে চলাচল করছে। চুক্তিতে চলাচলকারী অটোরিকশার সংখ্যা সীমিত হলেও অভিযান অব্যাহত থাকবে। মিটারে চলাচল নিশ্চিতকরণে আইনগত উদ্যোগের পাশাপাশি যাত্রীদের সচেতনতাও জরুরি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। মিটারে না চললে যাত্রীরা যাতে সহজে অভিযোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে শিগগিরই বিআরটিএর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মোবাইল নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ সময় মন্ত্রী জানান, জানুয়ারি মাসে বিআরটিএ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগে এক হাজার ২০৫টি মামলা করেছে। ২৮৮টি যানবাহন ডাম্পিং করা ছাড়াও ৯০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম মহানগরীতেও অভিযান চলছে এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানের সময় সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কিত উপকমিটির সদস্য বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) বিজয় ভূষণ পালসহ বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।