গাজীপুরে স্কুলছাত্রী হত্যার দায়ে দুজনের মৃত্যুদণ্ড

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে স্কুলছাত্রী মারিয়াকে হত্যার দায়ে দুজনকে ফাঁসি ও একজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া দুজন হলেন মারিয়ার বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মো. সুমন শেখ ও প্রহরী আবদুল আলীম। সুমনের বাড়ি ফরিদপুর জেলার মাইজা মিয়ারডাঙ্গী গ্রামে। আলীমের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার ধুকুরিয়া বেড়া গ্রামে। তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তি হলেন আবদুল আলীমের স্ত্রী শেফালী বেগম। সুমন শেখ জামিন পাওয়ার পর থেকে পলাতক। রায় ঘোষণার সময় মামলার বাদীসহ অপর দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হারিছ উদ্দিন এবং বিবাদীর পক্ষে ছিলেন জিয়ারত হোসেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার মো. আক্তারুজ্জামানের মেয়ে মারিয়া স্থানীয় শাহিন ক্যাডেট স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পর বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মো. সুমন ও প্রহরী আবদুল আলীম গ্যারেজে নিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মারিয়াকে হত্যা করেন। এরপর তার লাশ বাড়ির পানির ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন। এ ঘটনা দেখেও আবদুল আলীমের স্ত্রী শেফালী বেগম তা গোপন রাখেন। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পানির ট্যাংকে মারিয়ার লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে মারিয়ার বাবা মো. আক্তারুজ্জামান ঘটনার পরদিন জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে সাক্ষ্যগ্রহণ ও উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
পিপি হারিছ উদ্দিন বলেন, ‘রায়ে আমরা সবাই সন্তুষ্ট ও কতৃজ্ঞ।’
মামলার বাদী ও মারিয়ার বাবা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে জামিন পেয়ে পলাতক রয়েছে সুমন। আমি তাঁকে গ্রেপ্তার করে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।’