ভারতীয় ডিম আর বাচ্চায় সয়লাব সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা সীমান্ত এখন ভারতীয় মুরগির বাচ্চা ও ডিমে সয়লাব। প্রায় প্রতিদিনই এগুলো ভারত থেকে পাচার হয়ে সাতক্ষীরায় আসছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ভারতে মুরগির বাচ্চার বাজারমূল্য কম হওয়ায় অধিক মুনাফার লক্ষ্যে চোরাচালানিরা তা বাংলাদেশে নিয়ে আসছে।
সাতক্ষীরার সোনাবাড়িয়া, কলারোয়া, মাদ্রা, বৈকারী ও কুশখালী সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমাণে মুরগির বাচ্চা ও ডিম আসছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এসব মুরগির বাচ্চা আটক করছেন। ভারতীয় মুরগির বাচ্চার খাঁচায় ‘বাংলাদেশে উৎপাদিত’ লেবেল লিখে তা কৌশলে পাচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি মুরগির ডিমের চেয়ে ভারতীয় সাদা মুরগির ডিমের দাম প্রতিটিতে এক থেকে দেড় টাকা কম। সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাটে ও বাজারে ভারতীয় মুরগির ডিম বেচাকেনা চলছে। সাদা রঙের এসব ডিম আকারে ছোট।
আজ মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দাঁতভাঙ্গা বিল সীমান্ত এলাকা থেকে ১৮ হাজার ভারতীয় মুরগির বাচ্চা আটক করে বিজিবি। এর একদিন আগে বিজিবি কুশখালী এলাকা থেকে চার হাজার মুরগির বাচ্চা ও ডিম আটক করে। এরও কয়েকদিন আগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরো তিন হাজার মুরগির বাচ্চা আটক করা হয়।
বিজিবির ৩৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরমান হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতীয় মুরগির বাচ্চা ও ডিমের চোরাচালান বেড়ে গেছে। এই চোরাচালান রোধে বিজিবি সদস্যরা অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।’ তিনি আরো জানান, ভারতীয় ডিম ও মুরগির কারণে বাংলাদেশের পোলট্রিশিল্প যেন ক্ষতির মুখে না পড়ে সে বিষয়ে তাঁরা যথেষ্ট সতর্ক।
এ ব্যাপারে জেলা পোলট্রি মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদার রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে মুরগির বাচ্চার উৎপাদন খরচ বেশি। কেন না দেশে পোলট্রি খাবারের দাম বেশি। খাবারের দাম না কমালে সমস্যাটা থেকেই যাবে। আর এ কারণেই ভারত থেকে মুরগির বাচ্চা আসছে। আর এভাবে এলে দেশি শিল্প মার খাবে।’