জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদ। সভাপতিসহ ১০ পদে জয় পেয়েছে তারা।
এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদকসহ দুটি পদে সমমনা পরিষদ ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতিসহ সাতটি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সমন্বয় পরিষদের সদস্যরা জয়ী হয়েছেন। এ নির্বাচনে নির্বাহী পরিষদের ১০টি সদস্যপদের মধ্যে পাঁচটিতে জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদ ও পাঁচটিতে সমন্বয় পরিষদের সদস্যরা জয়ী হয়েছেন।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মধ্যরাতে ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার আ ক ম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
নির্বাচনে সভাপতি পদে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী এক হাজার ২৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক পদে সমমনা পরিষদের এস এম জাহেদ বীরু এক হাজার ২০৬ ভোট পেয়েছেন। সমন্বয়ক পরিষদের মুজিবুর রহমান চৌধুরী জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, ঐক্য পরিষদের এইচ এস আবুল হাসান সহসভাপতি পদে ও সহসম্পাদক পদে সমমনা পরিষদের মো. রাসেল নির্বাচিত হন। এ ছাড়া অর্থ সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের মো. সাইফুদ্দিন, পাঠাগার সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের ফজলুল কবির, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে সমন্বয়ের দুলাল চন্দ্র দেবনাথ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের মো. রায়হান সালেহিন নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাহী পরিষদে জয়ী জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদ সদস্যরা হলেন—মিনহাজ উদ্দিন, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. নাসির উদ্দিন, রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী ও শফিকুল আলম লিটন। এ ছাড়া সমন্বয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা হলেন—আজহারুল হক, মো. ফখরুল ইসলাম, মো. মনিরুজ্জামান, রুবেল কুমার দেব, শুভাশীষ শর্মা।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। এবারের নির্বাচনে তিনটি প্যানেলের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদ ও সমমনা পরিষদ আলাদাভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নয়টি সম্পাদকীয় পদ ও ১০টি সদস্যপদে তিন প্যানেল থেকে ৪৫ প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।
নির্বাচনে তিন হাজার ৪৩০ আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।