শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের ককটেল, গুলি বিনিময়

একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে যশোরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। যশোর এম এম কলেজ প্রাঙ্গণে এ ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় বোমা ও গুলির শব্দে শহীদ মিনার চত্বর মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১২টা ১ মিনিটে যশোর সরকারি এম এম কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। এরপর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে যান।
এ সময় কে আগে ফুল দেবে এ নিয়ে শহীদ মিনার চত্বরে হট্টগোল শুরু হয়। এর মধ্যেই শহীদ মিনারের উত্তর পাশে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। একটি ককটেল শহীদ মিনারের সামনে পড়ে বিস্ফোরিত হয়। এ ছাড়া ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ফাঁকা গুলির শব্দে এক আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এতে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতে যাওয়া সাধারণ নারী-পুরুষ ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যায় পুরো শহীদ মিনার এলাকা। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের কর্মসূচিও কিছুসময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। তবে ককটেল বা গুলিতে কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংসদ সদস্যের প্রতিপক্ষ গ্রুপ এ হামলা চালিয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০ রাউণ্ড ফাকা গুলি ছুড়েছে। এ ছাড়া হামলায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে রাত আড়াইটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা শংকায় শহীদ মিনার এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। শ্রদ্ধা নিবেদনকারীসহ কাউকে সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।