স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার গাড়ি থেকে অস্ত্র গুলি উদ্ধার

বগুড়ার শাজাহানপুর থানা পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার আস্তানা থেকে রিভলবার-গুলি, ককটেল ও বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক কর্মীকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় ১০টি মোটরসাইকেল ও দুটি প্রাইভেটকার।
আজ বুধবার বিকেলে শাজাহানপুর উপজেলার উমরদীঘি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত টাইগার স্পোর্টিং ক্লাব থেকে ওই সব উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার পরিকল্পনাকালে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায় বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, বিকেল ৫টার দিকে শাজাহানপুর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল টাইগার স্পোর্টিং ক্লাব ঘিরে ফেলে। এ সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান শাহিন ওরফে ভিপি শাহীন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্লাবের ভেতরে অবস্থান করছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ক্লাবের ভেতর থেকে ভিপি শাহীন ও অন্য নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ক্লাবের ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে ১১টি ককটেল, চাকু, রামদা ও বল্লমসহ ৩৬টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে ক্লাবের বাইরে থাকা শাহিনের প্রাইভেট কার তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল ও চারটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী আসাদুর রহমানকে আটক করে। এ ছাড়া ক্লাবের সামনে থেকে পুলিশ নেতাকর্মীদের ফেলে রেখে যাওয়া ১০টি মোটরসাইকেল ও আরেকটি প্রাইভেট কার জব্দ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে শাজাহানপুর উপজেলার খরানা ইউনিয়নে শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সৌরভ হোসেন ছান্নু এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান শাহিন প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ শুরু করেছেন। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা চলছিল। এর জের ধরেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ভিপি শাহিনের আস্তানা হিসেবে পরিচিত টাইগার স্পোর্টিং ক্লাবে অস্ত্রশস্ত্র মজুদের পাশাপাশি হামলার পরিকল্পনা চলছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, উদ্ধার করা একটি রিভলবার, চারটি গুলি ও দেশীয় তৈরি অস্ত্র থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া ১০টি মোটরসাইকেল ও দুটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান শাহিন পলাতক। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ।
বক্তব্য জানতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুর রহমান দুলুকে ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।