জমি ফেরত চান ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/02/26/photo-1456444124.jpg)
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় সরকারিভাবে বরাদ্দ হওয়া ২৪ ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধার ছয় একর জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অবিলম্বে এ জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার।
বৃহস্পতিবার জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার। পরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন তাঁরা।
মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১১ সালে সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সরকারি ছয় একর খাসজমি ২৪ ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারকে দেওয়া হয়। সেই থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এসব জমি ভোগদখল করে আসছিলেন। গত ৮ জানুয়ারি ওই ইউনিয়নের সাবেক সদস্য মকবুল হোসেন তাঁর দলবল নিয়ে ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জমির ফসল ও গাছপালা কেটে দখল করে নেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা আরো জানান, ২০১১ সালে ওই জমি দখল করে বোরো আবাদ করেছে মকবুল হোসেন ও তাঁর দলীয় লোকজন। থানা-পুলিশ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে তাঁরা জানান।
এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে বীর প্রতীক আবদুল হাই সরকার বলেন, ‘অসহায় ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জমি ভূমিদস্যুরা দখল করে নিয়েছে। এ অবস্থায় ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা অসহায় দিন যাপন করছে। আমি আশা করছি, পুলিশ প্রশাসনসহ উপজেলা ও জেলা প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জমি উদ্ধার করে দেবে।’
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জমির উদ্দিন জানান, ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জমি দখলের বিষয়টিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু বলেন, ‘আমি চাই প্রশাসন দ্রুত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বরাদ্দকৃত জমি তাদের বুঝিয়ে দেবে।’
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, বরাদ্দকৃত জমিতে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর না থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ যদি একটু জোরালো ভূমিকা নেয়, তাহলে সহজে মুক্তিযোদ্ধাদের জমি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।