সাত খুন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৪ মার্চ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/07/photo-1457360007.jpg)
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও কাউন্সিলর নূর হোসেন এবং র্যাব ১১-এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদের পক্ষের আইনজীবীরা বাদী ডা. বিজয় কুমার পালকে শেষ পর্যন্ত জেরা করেননি। আগামী ১৪ মার্চ আদালত অন্যান্য সাক্ষীর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
আজ সোমবার বিকেলে উচ্চ আদালতের আদেশ নারায়ণগঞ্জের আদালতে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হওয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বাদীকে জেরা করতে অস্বীকার করেন।
এর আগে বেলা ১১টায় উচ্চ আদালতে নূর হোসেন ও তারেক সাঈদের মামলা স্থগিতাদেশ চেয়ে রিট আবেদনের আদেশ আসবে অজুহাতে আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করলে আদালত বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিচারকাজ মুলতবি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন জানিয়েছেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উচ্চ আদালতের আদেশ আনতে ব্যর্থ হওয়ার পর বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন বাদীকে জেরা করার নির্দেশ দেন। কিন্তু আসামিদের আইনজীবীরা বাদী ডা. বিজয় কুমার পালকে জেরা করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর তাঁকে আর জেরা করার অনুমতি না দিয়ে আদালত অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন ১৪ মার্চ।
ডা. বিজয় কুমার পালের সাক্ষ্য এবং জেরা করা আর প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান আসামি নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফ হোসেনসহ ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
অ্যাডভোকেট এস এম ওয়াজেদ আলী (পিপি) বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত আসামিপক্ষকে দুই দফায় সময় দিয়েছেন। কিন্তু উচ্চ আদালত থেকে আইনগত নির্দেশনা আজ শেষ বিকেলের বিচার কার্যক্রম পর্যন্ত নূর হোসেন ও তারেক সাঈদের পক্ষে তাঁদের আইনজীবীরা দেখাতে ব্যর্থ হন। বিজ্ঞ আদালত তাঁদের বাদীকে জেরার আহ্বান জানালে তাঁরা অস্বীকৃতি জানান। আদালত আদেশ দেন, এই বাদীকে জেরা করার কোনো সুযোগ থাকবে না। নতুন সাক্ষীদের জেরা করা যাবে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী ১৪ মার্চ এই মামলার অন্যান্য সাক্ষীকে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আদালতে উপস্থিত করব।’
গতকাল তারেক সাঈদের বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। ঘটনার পর ৩০ এপ্রিল ছয়জনের ও ১ মে আরো একজনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।