সিরাজগঞ্জে নির্বাচন স্থগিত নিয়ে আ. লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিতকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুই ইউপি সদস্যসহ উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়েছে। এ সময় একটি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্যাবল নেটওয়ার্কের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সয়দাবাদ ইউনিয়নের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সৌপ্তিক আহমেদ মিঠু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নবিদুল ইসলামের সমর্থকরা কড্ডার মোড় এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান সৌপ্তিক আহমেদ মিঠুর বাসায় হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এসে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়। এঁদের মধ্যে সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী আবদুল মমিন, সিরাজুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে কড্ডা এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যানের বাড়ি, একটি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্যাবল নেটওয়ার্কের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, নির্বাচন স্থগিত হওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ১০টি শটগানের গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।