আদি বুড়িগঙ্গায় হাতিরঝিলের মতো প্রকল্প নেওয়া হবে : নৌমন্ত্রী

আদি বুড়িগঙ্গা উদ্ধার করে হাতিরঝিলের মতো দৃষ্টিনন্দন ও মনোমুগ্ধকর করে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
আজ বুধবার সচিবালয়ে নদী রক্ষাসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের নৌমন্ত্রী এ কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা উদ্ধার প্রসঙ্গে আদি বুড়িগঙ্গা উদ্ধার করে হাতিরঝিল প্রকল্পের মতো একটি প্রকল্প আমরা শিগগিরই গ্রহণ করব। তবে বুড়িগঙ্গার সব জমি উদ্ধার করা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ, এর প্রায় সবটাই দখল করে রেখেছে প্রভাবশালী ভুমিদস্যুরা। তবে যত চ্যালেঞ্জই হোক না কেন, আমরা আদি বুড়িগঙ্গা উদ্ধার করবই।’
নদীদূষণের বিষয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, শিল্পকারখানার বর্জ্যই নদীদূষণের জন্য ৬০ শতাংশ দায়ী। এর মধ্যে ট্যানারি শিল্পের বর্জ্য রয়েছে ৩০ শতাংশ। আগামী ৩১ মার্চের পর হাজারীবাগের ট্যানারি কারখানাগুলোতে কোনো চামড়া ঢুকতে দেওয়া হবে না। এতে নদীদূষণ কিছুটা হলেও কমে আসবে।
নদী বেদখল হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর তীরবর্তী এলাকা দখলবাজদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা সীমানা পিলার দিয়েছিলাম। এর মধ্যে কিছু পিলার সঠিকভাবে বসানো হয়নি। আবার অনেক পিলার তুলে নিয়ে নদীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ভরাট করা হয়েছে। আমরা নতুন করে সীমানা চিহ্নিত করে সীমানা পিলার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শ্যালা নদীতে সাময়িকভাবে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নৌ-প্রটোকল অনুযায়ী ভারতের কিছু নৌযান এখন চলাচল করছে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এগুলো চলাচল করবে। এর পর আমরা স্থায়ীভাবে শ্যালা নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেব।’