সরাইলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পুলিশসহ আহত ৩০, ভাঙচুর-লুটপাট
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/26/photo-1458994699.jpg)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ আহত হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মৈশান বাড়ি ও লাখি হাজারির বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে ধর্মতীর্থ এলাকার আজম ইটভাটায় ট্রাক্টরে ইট ওঠানোকে কেন্দ্র করে মৈশান বাড়ির এফরান আলী মৈশানের ছেলে আল-আমীন (২৫) ও লাখি হাজারীর বাড়ির মজনু মিয়ার ছেলে জামিরের (২০) মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও একপর্যায়ের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এর জের ধরে আজ সকালে দুই গোষ্ঠীর সহস্রাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দেড় ঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পরে। এ সময় বেশ কয়েকটি বসতঘর ভাঙচুর ও মালামাল লুটের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১১টি কাঁদানে গ্যাস ও তিনটি রাবার বুলেট ছোড়ে। পাশাপাশি লাঠিপেটা করে লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। সংঘর্ষে পুলিশ, নারী-পুরুষ, শিশুসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় আহত সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম, কনস্টেবল শাহ জালালকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুল হক বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।