কালীগঞ্জে নরসুন্দরের লাশ উদ্ধার

গাজীপুরের কালীগঞ্জে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় চিত্তরঞ্জন শীল (৪৫) নামের এক নরসুন্দরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার চিত্তরঞ্জনের বাড়ি জামালপুর ইউনিয়নের কলাপাটুয়া গ্রাম থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, কলাপাটুয়া গ্রামে দালান বাজারের দোকানে নরসুন্দরের কাজ করতেন চিত্তরঞ্জন শীল। তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি আর ফিরেননি। পরের দিন রোববার সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো চিত্তরঞ্জনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশ চিত্তরঞ্জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
চিত্তরঞ্জনের স্ত্রী অঞ্জনা রাণী বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে কয়েক বছর ধরে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধ চলছে। এ ছাড়া চিত্তরঞ্জন শীল এবারের জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং বর্তমান চেয়ারম্যান খায়রুল আলমের সমর্থক ও কর্মী। এ কারণে শনিবার সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িতে এসে আমাদের মারধর করে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর শনিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে চিত্তরঞ্জন আর ফিরেনি। পরের দিন সকালে বাড়ির পাশে গাছে তাঁর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।’
জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খায়রুল আলম দাবি করেন এবারের ইউপি নির্বাচনে চিত্তরঞ্জন শীল তাঁর কর্মী ছিলেন। এ কারণে প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করেছে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বিরোধের কারণে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে চিত্তরঞ্জন আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর শরীরে আঘাতের কোনোচিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে একটি মহল বিষয়টি নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে এ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে।’