রাবিতে প্রতিপক্ষের হাতে মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষের কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শহীদ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব বিষয়টি মীমাংসা করতে গেলে দ্বিতীয় দফা মারামারির ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার মিলন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে হল ছাত্রলীগ নেতা মিলন তাঁর এক ছোট ভাইকে হলের ৩৫৮ নম্বর কক্ষে ওঠানোর জন্য নিয়ে যান। এর আগে ওই কক্ষে ছাত্রলীগকর্মী কাজী বাহার তাঁর অনাবাসিক বন্ধু ওলিউল্লাহকে ওঠান। এ সময় ওলিউল্লাহকে হল থেকে নেমে যেতে বলেন মিলন। এতে বাহার বাধা দেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে কিছুক্ষণ পর হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেজান মাহমুদের সহযোগী আরিফুল ইসলাম রাহাত, ফুয়াদ, চন্দনসহ কয়েকজন মিলনকে হলগেটের সামনে মারধর করেন।
এর পর রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব মীমাংসার জন্য পুরাতন ফোকলোর চত্বরে মিলন ও অপর পক্ষের নেতাকর্মীদের ডেকে নেন। সেখানে মিলন কথা বলার একপর্যায়ে রাহাতকে ঘুষি মারেন। এ সময় সেজান, রাহাতসহ কয়েকজন মিলনকে ইট ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে মিলনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মিলন বলেন, ‘ওরা হলে সিট-বাণিজ্য করে। আমি ওই কক্ষে একটি বৈধ ছেলেকে ওঠানোর জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে তাদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। পরে ওরা আমাকে মারধর করে।’
আরিফুল ইসলাম রাহাত বলেন, ‘তেমন কিছু হয়নি। সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। মিলন অসুস্থ বোধ করছিল, তাই তাকে মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। আমিও মেডিকেলে এসেছি।’
সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেজান মাহমুদ বলেন, ‘ছোট্ট বিষয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। মিলন আমার ছেলেদের ধাক্কা দিলে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়।’ তবে দ্বিতীয় দফা মারামারির বিষয়টি অস্বীকার করেন সেজান।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব বলেন, ‘নেতাকর্মীর মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছিল। পরে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি।’ দ্বিতীয় দফা মারামারি নিয়ে তিনি বলেন, ‘তাকে মারধর করা হয়নি। এর আগে হলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় মাথায় আঘাত পাওয়ায় মিলনকে মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে।’