নড়িয়ায় এক রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতি, আহত ২

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তাকারেরচর ইউনিয়নে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তিনটি বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকাসহ প্রায় পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।
এ সময় ডাকাতির কাজে বাধা দিতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে এই ঘটনাকে চুরির ঘটনা বলে দাবি করেছে পুলিশ।
নড়িয়া থানার পুলিশ ও ডাকাতির শিকার পরিবারগুলো জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে প্রথমে মোক্তাকারের চর ইউনিয়নের ঈশরকাঠি গ্রামের মীর হোসেন মাদবরের ঘরের টিন কেটে দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে ডাকাতরা। পরে ঘরে থাকা মানুষদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে নেয়। একইভাবে রাত ৩টার দিকে একই গ্রামের আনোয়ার বেপারীর বাড়িতে ঢোকে ডাকাতরা। সেখানে ডাকাতির কাজে বাধা দিলে আনোয়ার বেপারী (৫০) ও তাঁর ছেলে সেলিম বেপারীকে (২৫) কুপিয়ে আহত করে ডাকাতরা। ভোর রাতে পাশের গ্রামের মাওলানা জাকির হোসেন মাদবরের ঘরে ঢুকে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ২৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। আহত দুজনকে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়। এই ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মাওলানা জাকির হোসেন মাদবর বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সিঁধ কেটে পাঁচ-সাতজন লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে আমার মাধায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায়। পরে ঘরে থাকা ২৫ হাজার টাকা ও প্রায় তিন ভরি স্বর্ণ ও সাতটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। সকালে শুনতে পারি আরো দুই বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।’
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, তিনটি বাড়ি থেকে কিছু মালামাল নিয়েছে। পুলিশ বাড়িগুলো পরিদর্শন করেছে। আনোয়ার বেপারীর বাড়ি থেকে ফেলে যাওয়া একটি ছুরি, একটি জুতা ও একটি ছাতি উদ্ধার করা হয়েছে। আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি একটি চুরির ঘটনা। চোরদের আঘাতে দুজন আহত হয়েছে।