বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে আটকে ধর্ষণ

গাজীপুরে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে এক নারীকেও আটক করেছে পুলিশ।
কিশোরীর মা জানিয়েছেন, আটকদের একজনের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হচ্ছেন নাহিদ (২৮), শহিদ (২৬), সুজন (৩০) ও মুক্তা (৩০)।
কিশোরীর মা জানান, স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় ভাড়া থাকেন তিনি। কিছু দিন ধরে স্থানীয় লন্ড্রি মালিক সুজন ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। সুজন বিবাহিত ও সন্তানের বাবা হওয়ায় কিশোরীর পরিবার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এ ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য নাহিদ ও শহীদের সহযোগিতা চান সুজন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নাহিদ ও শহীদ স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
কিশোরীর মা আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় কথা আছে বলে স্থানীয় মুদি দোকানি মুক্তা বেগম ওই কিশোরীকে ওই এলাকার সুমনদের সাততলা ভবনের সপ্তম তলার একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে কিশোরীটিকে কৌশলে কক্ষে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে আসেন মুক্তা বেগম। রাতে ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। শনিবার দুর্বৃত্তরা কিশোরীকে ছেড়ে দেয়।
কিশোরীর মা আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ে বাসায় না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে শনিবার বাসায় ফিরলে সে ঘটনাটি তাঁকে জানায়। পরে বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর সেলিম রহমানকে জানানো হয়।
জয়দেবপুর থানার কোনাবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন জানান, কাউন্সিলর সেলিম রহমান অভিযুক্তদের রোববার তাঁর কার্যালয়ে ডেকে আনেন এবং বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে দুপুরে অভিযুক্তদের আটক এবং ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় পাঠানো হয়।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জানান, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।