গাংনীতে ধাওয়া দিয়ে ইরানের ৩ নাগরিককে আটক

মেহেরপুরের গাংনীতে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ইরানের তিন নাগরিককে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় লোকজন তিন ইরানিকে ধাওয়া দিয়ে গাংনীর চোখতোলা মাঠের রাস্তা থেকে আটক করে।
আটক তিন ইরানি হচ্ছেন আমির হোসেন (৪৫), ভয়িদ (২৫) ও নাদের আলী(২৪)। তবে আটক ব্যক্তিরা নিজেদের নির্দোষ ও পর্যটক বলে দাবি করেছেন।
গাংনী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সম্প্রতি কয়েকজন বিদেশি নাগরিক কয়েকটি পেট্রলপাম্প ও চালের দোকানে টাকা ভাঙানোর কথা বলে কয়েক লাখ টাকা প্রতারণা করেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইরানের তিন নাগরিক একটি প্রাইভেটকারে করে গাংনী হাসপাতাল বাজারে এসে টাকা ভাঙানোর কথা বলেন। স্থানীয় লোকজন সন্দেহবশত তাদের ধাওয়া দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় চোখতোলা মাঠে রাস্তার পাশে গাড়ি উল্টে আহত হন তাঁরা। স্থানীয় লোকজন তাঁদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
গাংনী বাজারের মোটরসাইকেল কারিগর শাহজামাল জানান, বিকেলে ওই বিদেশিরা একটি এক হাজার টাকার নোট ভাঙানোর কথা বলে তাঁর কাছে আসেন। টাকা ভাঙানোর সময় তাঁর নাকের কাছে কোনো সুগন্ধি শোকানোর চেষ্টা করলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এ সময় বিদেশিরা জোর করে ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা নিতে গেলে তিনি চিৎকার দেন। স্থানীয় লোকজন বিদেশিদের ধাওয়া করেন। বিদেশিরা জোরে গাড়ি চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চোখ তোলা মাঠে রাস্তার পাশে একটা গর্তে উল্টে পড়ে আহত হন। আহত অবস্থায় লোকজন তাঁদের ধরে পিটুনি দেওয়ার চেষ্টা করলে এনটিভির জেলা প্রতিনিধি রেজ আন উল বাসার তাপস জনরোষ থেকে রক্ষা করে তাঁদের পুলিশে দেয়।
গাংনীর বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী লাভলু জানান, সম্প্রতি কয়েকজন বিদেশি তাঁর কাছে টাকা ভাঙানোর কথা বলে ৩১ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এদের দেখে ওই বিদেশি নাগরিক বলে মনে হচ্ছে।
এদিকে ওই ইরানি নাগরিকরা জানান, তাঁরা দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে এসেছেন। তাঁরা পর্যটক। কোনো প্রতারক নন।
এদিকে বিদেশিদের সঙ্গে কোনো গাইড না থাকায় জনমনে আরো সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, এর আগে কয়েকজন বিদেশি পেট্রোল পাম্প ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন এবং থানায় মামলা হয়েছে। একজন বিদেশিকে শনাক্ত করা হয়। ইরানের নাগরিকদের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে দোষী মনে হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।