শরীয়তপুরে মারপিট, ব্যালট ছিনতাই

শরীয়তপুরের দুটি উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে আজ শনিবার মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়। সকাল থেকেই বেশির ভাগ কেন্দ্রে বিপুলসংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মারপিট ও কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তুলাশার কেন্দ্রে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মারপিট ও কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আহম্মদ উল্লাহ মিয়া নামের একজনকে আটক করে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দুপুর দেড়টার দিকে শৌলপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা ব্যালট পেপার ছিনতাই ও হামলা-ভাঙচুর করলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া এজেন্ট বের করে দিয়ে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেছেন গোসাইরহাট ইউপিতে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী তারেক আজিজ মোবারক ঢালী।
তৃতীয় ধাপে এবারের নির্বাচনে শরীয়তপুর সদর ও গোসাইরহাট উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও উচ্চ আদালতেরে নির্দেশে নাগেরপাড়া ও মাহমুদপুর ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া দুটি ইউনিয়নে কোনো প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলার বিনোদপুর ও চিতলতিয়া ইউনিয়নে।
নির্বাচন হওয়া ১২টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবারের নির্বাচনে মোট ১২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৯টিকেই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে স্থানীয় প্রশাসন।