আরো তিনজনের নাম বলেছেন শফিক রেহমান

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের হত্যা ষড়যন্ত্রে ‘আমার দেশ’-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ছাড়া আরো তিনজন জড়িত ছিল বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে তিনি (শফিক) এ কথা জানান।
আজ রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে মনিরুল এ তথ্য জানান।
দ্বিতীয় দফায় সাংবাদিক শফিক রেহমানকে রিমান্ডে নিয়ে কী পাওয়া গেল, তা জানাতে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।urgentPhoto
ব্রিফিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল বলেন, ‘তিনি আরো অন্তত তিনজনের নাম বলেছেন, যাঁদের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে যাচাই-বাছাই হচ্ছে এবং বারবার আমরা তাদের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আমরা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। নিশ্চিত হলে এবং আরো করোবোরেটিং এভিডেন্স (শক্তসামর্থ্য প্রমাণ) পেলে তাঁদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসব আমরা।’
মনিরুল জানান, প্রথমে পুলিশের ধারণা ছিল, এই ষড়যন্ত্রে অল্প অর্থ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শফিক রেহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে কয়েক গুণ বেশি অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
মনিরুল বলেন, ‘যে ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে, সে ডকুমেন্টের পারিশ্রমিক হিসেবে অর্থাৎ এটির মূল্য হিসেবে ৩০ হাজার ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল, যার কিছু ডলার তাঁর নামে পরিশোধ হয়েছিল। তিনি দেননি। বাট (কিন্তু) তাঁর নামে পরিশোধ হয়েছে। বাকি ডলার কোথা থেকে এসেছে, এই উৎসগুলো তিনি বলেছেন। তবে সেটি আমরা যাচাই-বাছাই করছি।’
প্রথম দফা রিমান্ড শেষে শফিক রেহমানকে আবারও পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, তাঁর কাছ থেকে যেসব কাগজপত্র পাওয়া গেছে, সেগুলো সম্পর্কে জানতে এবং অসম্পূর্ণ জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করতে ফের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন মনিরুল ইসলাম।