নৌমন্ত্রীর ঘোষণায় মালিকপক্ষের না, ব্যবসা বন্ধের হুমকি

নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সর্বনিম্ন মজুরি সংক্রান্ত ঘোষণার সঙ্গে একমত নয় খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক গ্রুপ। মন্ত্রীর ঘোষণা গেজেটে রূপ নিলে নৌযান ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
আজ বুধবার খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নৌপরিবহনমন্ত্রীর ঘোষণার ব্যাপারে আপত্তির কথা জানায় মালিকদের ওই সংগঠন।
বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও নৌপথে চুরি-ডাকাতি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিতে গত বুধবার থেকে টানা ছয়দিন ধর্মঘট পালন করে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
গতকাল মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক করেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। বৈঠক শেষে রাতে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলম ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে জানান, তিনটি ক্যাটাগরিতে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছে সরকার।
আশিকুল আলম আরো জানান, তবে সরকারের এই সিদ্ধান্ত মালিকপক্ষ মানেনি। তাঁরা বৈঠক থেকে উঠে চলে যান।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করে মালিকদের সংগঠন খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক গ্রুপ।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব সাইফুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গতকাল নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বহু দর কষাকষির পর উভয়পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তখন মন্ত্রী একতরফাভাবে সর্বনিম্ন মজুরির ঘোষণা দেন এবং অন্য স্টাফদের বেতন কাঠামো ঘোষণার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেন। সর্বনিম্ন মজুরির ঘোষণায় সন্তুষ্ট হতে না পারায় নৌযান মালিকরা বৈঠকস্থল ত্যাগ করেন।’
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম মন্ত্রীর ঘোষণা মতো নয়, বরং সর্বনিম্ন মজুরি সাত হাজার ২০০ টাকা করার দাবি জানান। তিনি জানান, ওই মজুরির চেয়ে বেশি মজুরি করে গেজেট প্রকাশ হলে সেদিন থেকেই নৌযান মালিকরা নৌযান ব্যবসা পরিচালনা থেকে বিরত থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে নৌযান মালিক গ্রুপের সাবেক মহাসচিব ওয়াহেদুজ্জামান পল্টু খান, হাফিজুর রহমান চন্দন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, এম ডি গাফফার, এম এম আসাদুজ্জামান প্রমুখ নৌযান মালিক উপস্থিত ছিলেন।