পাট নিয়ে প্রতারণা, অবশেষে লক্ষ্মণ বাবু গ্রেপ্তার

উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখার প্রায় ১৯ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে পাট রপ্তানিকারক ও আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত কুমার ভট্টচার্য ওরফে লক্ষ্মণ বাবুকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দদুক)। আজ বুধবার বিকেলে খুলনা দুদকের একটি দল লক্ষ্মণ বাবুকে খুলনার মহেশ্বরপাশার নিজ কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করে সোনাডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করেছে।
সুজিত কুমার ভট্টচার্য ওরফে লক্ষ্মণ বাবু উত্তরা জুট ট্রেডার্সের মালিক এবং দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের বিলুপ্ত কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি।
গ্রেপ্তার হওয়া লক্ষ্মণ বাবু জানান, তিনি গত সপ্তাহে ভারত থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন।
গত ১১ এপ্রিল এনটিভি অনলাইনে প্রথম ‘খুলনায় লক্ষ্মণ বাবুর কাণ্ড, ১৮ কোটি টাকার পাট ব্যাংকে আছে গুদামে নেই’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তৎপর হয় খুলনা দুদক। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি শেষে বুধবার বিকেলে বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের উপপরিচালক আবদুল হাই গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেলহাজতে আটক রাখার আবেদন জানান মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে।
ওই আবেদনে বলা হয়, আসামি সুজিত কুমার ভট্টাচার্য অন্যদের সহায়তায় বর্ণিত গুদামের নকল চাবি তৈরি করে গোপনে গুদাম থেকে অন্যত্র পাট সরিয়েছেন। ব্যাংকের অনুকূলে বন্ধক রাখা চারটি গুদামের তিনটিতে কোনো পাট নেই। একটিমাত্র গুদামে ৩৪৭ বেল পাট ছিল। অথচ ব্যাংকের খাতাপত্রে চারটি গুদামে মোট ১৫ হাজার ৮৫২ বেল পাট থাকার কথা। তিনি মোট ১৮ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার টাকার পাট আত্মসাৎ করেছেন।
এই মামলার দুই নম্বর আসামি লক্ষ্মণ বাবুর স্ত্রী মিতা ভট্টাচার্য। মিতা ভট্টাচার্য দৌলতপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।