‘মৌয়ালরা দায়ী করে দেওয়া বক্তব্য বিবেচনার দাবি রাখে’

সুন্দরবনে নিয়মিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুন্দরবন একাডেমি। এ ঘটনাকে ‘স্যাবোটাজ’ উল্লেখ করে ঘটনার সঙ্গে দায়ীদের চিহ্ণিত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সুন্দরবন একাডেমির পক্ষে সংগঠনের পরিচালক মো. আবদুল হালিম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পূর্ব সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট মিঠা পানির মৌসুমী জলাধারের মাছ শিকারকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতকারীরা সুন্দরবন ধ্বংসের এই খেলায় মেতেছে। তারা আগুন দিয়ে বন উজাড় করে জলাধারের এলাকা বৃদ্ধি এবং সেখান থেকে বিনা পুঁজিতে বিপুল অর্থলাভের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে বলে এলাকাবাসী এবং বনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে।
‘দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এ অগ্নিকাণ্ডের জন্য মৌয়ালদের দায়ী করে যে বক্তব্য প্রচার করছেন তা আদৌ বাস্তবানুগ কি না তা বিবেচনার দাবি রাখে। তবে এ বছর পূর্ব সুন্দরবনে মধু কম বলে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘সুন্দরবনের এক শ্রেণির অসাধু কর্মচারীর সহায়তায় একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের ভেতরে সৃষ্ট জলাধার থেকে মাছ সংগ্রহ করে আসছিল। এ জলাধারের পাশের বনে আগুন দিলে গাছ পুড়ে প্রাকৃতিকভাবেই জলাধারের আয়তন বেড়ে যায়, ফলে পরের বছর মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।’
‘গত কয়েক বছর ধরেই এটা ঘটে আসছিল। এ বছর এই ঘটনাটি উদ্বেগের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী এলাকার জনগণ বলছেন। এ ছাড়া সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েকটি ইউনিয়নের গবাদি পশু টাকার বিনিময়ে সুন্দরবনে চরতে দিয়ে অবৈধভাবে পশুখাদ্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে সুন্দরবনের ক্ষতি হচ্ছে’, যোগ করা হয় বিবৃতিতে।