শরীয়তপুরে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

উত্ত্যক্তের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ করেছে শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউেটর শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। কর্মসূচি চলাকালে ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত অবস্থা সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার দেওভোগ গ্রামের গিয়াস উদ্দিন সরকারের বাড়িতে শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কিছু ছাত্রী মেস করে থাকতেন। কিছুদিন ধরে গিয়াস উদ্দিন সরকারের ছেলে নাঈম সরকার মেসের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। ছাত্রীরা আত্মসম্মানের ভয়ে বিষয়টি এত দিন কাউকে জানায়নি।
কয়েকদিন আগে রাতভর নাঈম ওই ছাত্রীদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। বিষয়টি পরের দিন ছাত্রীরা কলেজ অধ্যক্ষকে জানায়। পরে অধ্যক্ষ ছয় ছাত্রীকে কলেজ ক্যাম্পাসের শিক্ষকদের বাসভবনে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
আজ ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় তারা নাঈমের বিচার দাবি করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানায়, নাঈম সরকার ছোটবেলা থেকেই দুষ্ট প্রকৃতির। মেয়েদের বিভিন্ন সময় বিরক্ত করে সে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী বলেন, ‘নাঈম দীর্ঘদিন ধরে মুঠোফোনে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সম্মানের ভয়ে কারো কাছে আমরা কিছু বলিনি। কয়েক দিন আগে রুমের চারপাশে রাতভর ঘুর ঘুর করে নাঈম। বার বার ফোন দিয়ে আমাদের কুপ্রস্তাব দেয়।’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। অতি দ্রুত বিচার করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি। পাশাপাশি খুব শিগগির ছাত্রীদের থাকার জন্য ছাত্রীনিবাস নির্মাণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, ‘নাঈম সরকার কলেজের ছয় ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। আমি ঘটনাটি শোনার পর ছাত্রীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে এসেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছি। ছাত্ররা ক্লাস বর্জনের যে ঘোষণা দিয়েছে আমরা তাদের ক্লাসে ফিরিয়ে নিয়ে আসব।’