কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষেও লাভ করা সম্ভব : প্রতিমন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষের প্রকল্প গ্রহণ করছে। মৎস্য চাষের পাশাপাশি কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষেও লাভজনকে পরিণত করা সম্ভব।
আজ রোববার সকালে খুলনা সিএসএস আভা সেন্টারে এক কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের নির্বাচিত এলাকায় কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষ এবং গবেষণা প্রকল্পের আওতায় খুলনা বিভাগীয় কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষের লাগসই প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও করণীয় বিষয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। খুলনা বিভাগীয় মৎস্য কার্যালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদ দেশের জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখছে। তেমনি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও দ্বিতীয় বৃহত্তর খাত হিসেবে অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলছে।
এ অঞ্চলে কাঁকড়া চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ অঞ্চলে কুচিয়া চাষ জোরদার করা হবে।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আরো বলেন, বর্তমান সরকার গাভী পালনের জন্য এরই মধ্যে ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতিসহ মানুষের জীবনযাত্রা মানের উন্নতি হয়েছে এবং বাংলাদেশ উন্নয়নে রোল মডেল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রিজার্ভ) এম আই গোলদার। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক রণজিৎ কুমার পাল এবং খুলনা মৎস্য অধিদপ্তর ও মান নিয়ন্ত্রণের উপপরিচালক প্রফুল্ল কুমার সরকার। প্রকল্পবিষয়ক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ড. বিনয় কুমার চক্রবর্তী।
কর্মশালায় খুলনা, বাগেরহাট এবং সাতক্ষীরা জেলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষি, খামারি এবং স্টেকহোল্ডাররা অংশ নেন।