মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বলায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ সভা

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম লিটন মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বলায় প্রতিবাদ সভা করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। লিটনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যেরও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড সিংগাবরুণা ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রীবরদীর সিংগাবরুণা ইউনিয়নের কর্ণঝোড়া বাজারে ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও মুক্তিযুদ্ধের কোম্পানি কমান্ডার নূর ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম রূপজল মাস্টার, আব্দুল আউয়াল, মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনোনয়ন বাণিজ্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনকে রাজাকার আখ্যায়িত করার প্রতিবাদ জানান। তাঁরা লিটনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। সভা শেষে লিটনের কুশপুতুল জ্বালিয়ে দেন প্রতিবাদকারীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘মনোনয়ন বাণিজ্যের প্রশ্নই উঠে না, জেলা কমিটির নির্দেশেই আমি যা করার করেছি।’
গত ৩১ মার্চের তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিংগাবরুণা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পরাজিত হন। অভিযোগ ওঠে লিটন স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই টাকার বিনিময়ে ফকরুজ্জামানকে মনোনয়ন দেন। এ ছাড়া নির্বাচনী জনসভাগুলোতে সিংগাবরুণা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনকে রাজাকার বলে অভিহিত করেন।
নির্বাচন পরবর্তী সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সিংগাবরুণা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিয়ে পরাজিত প্রার্থী ফকরুজ্জামানকে সভাপতি ও সাইফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করেন।
এ কমিটিকে সম্পূর্ণ অসাংগঠনিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন আগের কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন।
এ ব্যাপারে মোতাহারুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত আমি জেলা কমিটির নির্দেশেই নিয়েছি।’