নিখোঁজের তিনদিন পর সেপটিক ট্যাংকে গৃহবধূর লাশ

নিখোঁজের তিনদিন পর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাথী খানম ওরফে বিজলী (১৯) নামের এক গৃহবধূর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার গোবরা পোদ্দারের চরের গ্রামের মৃত আবদুল খালেদ চৌধুরীর বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কি থেকে সাথী খানমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। খালেদ চৌধুরী সম্পর্কে সাথীর মামা হন।
সাথী গোবরার পোদ্দারের চরের বাসিন্দা সোহরাব শেখে মেয়ের মেয়ে। মাস তিনেক আগে উপজেলার সোনাকূড়া গ্রামের মানিক মিয়া নামে এক যুবকের সঙ্গে সাথীর বিয়ে হয়। তারা প্রেম করে বিয়ে করেন। কিন্তু উভয়ের পরিবারই এ বিয়ে মেনে নেয়নি। পেশায় মহেন্দ্রচালক মানিক এর আগে আরেকটি বিয়ে করেন। ফলে সাথী তাঁর বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
সাথীর বাবা সোহরাব শেখ জানান, সাথী গত সোমবার রাতে পাশের বাড়ি আম কুড়াতে যায়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। পরে আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আজ বিকেলে খালেদ চৌধুরীর স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কির কাছ গিয়ে পঁচা গন্ধ পান। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পুলিশের ধারণা সাথীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ওই সেপটিক ট্যাঙ্কির ভিতর লুকিয়ে রাখা হয়।
সাথীর বাবা আরো জানান, আম কুঁড়াতে গিয়ে সেদিন সাথীর সঙ্গে একই গ্রামের আরিফ শেখের ঝগড়া হয়েছিল বলে তিনি জানতে পেরেছেন।