নকশি কাঁথার শিল্পকর্মে আদিবাসী ভাষা ও সংস্কৃতির সংকলন

‘অনুচিন্তন’-এর তৃতীয় প্রকাশনায় নকশি কাঁথার শিল্পকর্ম, আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতির সংকলনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অ্যানথ্রোপলজি সোসাইটির এই দেয়াল পত্রিকার তৃতীয় প্রকাশনার উদ্বোধন করা হয়।
এ সংখ্যায় নকশি কাঁথার শিল্পকর্মকে গুরুত্ব দিয়ে পুরো পত্রিকাটিকে সাজানো হয়েছে। আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতির সংকলনে এ সংখ্যা ভূমিকা রাখে। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল লেখা অবস্থান করে নিয়েছে এ পত্রিকায়।
এক সপ্তাহ ধরে এ পত্রিকার সাজসজ্জায় কাজ করেন বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। পত্রিকার লেখা সংকলনে কাজ করেন ইসরাত জাহান লিপা, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছিলেন অ্যানথ্রোপলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম সাইদুজ্জামান আসিফ।
নকশি কাঁথা বাংলাদেশের সংস্কৃতির এক বিশাল জায়গাজুড়ে আছে। তাই বাংলার সংস্কৃতি নকশি কাঁথার চিত্রকল্পে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান ‘অনুচিন্তন’ দেয়াল পত্রিকার তৃতীয় প্রকাশনার সম্পাদক ও অ্যানথ্রোপলজি সোসাইটির সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক তারিক বিন ওয়াহিদ। তিনি বলেন, ‘অনুচিন্তন বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটা জ্ঞানের প্রায়োগিক দিক। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ চিন্তাধারা পরিপূর্ণতা পায়।’
অনুচিন্তন ও অ্যানথ্রোপলজি সোসাইটির মডারেটর মো. আজমাইন মুহতাসিম মীর শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার অভ্যাসের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘এ পত্রিকার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার অভ্যাস গড়ে উঠবে। তারা যেন আরো বড় পরিসরে লিখতে পারে তার অভ্যাস এ দেয়াল পত্রিকার মাধ্যমেই হবে।’
নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও অ্যানথ্রোপলজি সোসাইটির সভাপতি মো. আইনুল হক বলেন, ‘একাডেমিক শিক্ষার বাইরে এ ধরনের আয়োজন। এর মাধ্যমে প্রতিভা বিকাশ হয়।’