লাঞ্ছিত শিক্ষককে সুশীল সমাজ নেতাদের সমবেদনা

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের লাঞ্ছিত প্রধান শিক্ষককে হাসপাতালে গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সুশীল সমাজের নেতারা। আজ সোমবার বিকেলে নগরীর খানপুর হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের সঙ্গে দেখা করেন এবং সমবেদনা জানান।urgentPhoto
এদিকে শ্যামল চন্দ্র ভক্ত লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন মহলে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমসহ গণমাধ্যমেও এই বিষয়ে সমালোচনা হচ্ছে।
এদিকে প্রধান শিক্ষক শ্যামল চন্দ্র ভক্ত নিজেকে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে সুশীল সমাজের নেতাদের কাছে দাবি করেছেন। তিনি আরো জানান, তাঁকে হত্যার করার জন্যই এই ঘটনা সাজানো হয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
সুশীল সমাজের নেতাদের মধ্যে ছিলেন ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’ সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, মহিলা পরিষদরে শহর কমিটির সভানেত্রী শাহানারা বেগম প্রমুখ।
প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করার পর নেতারা সাংবাদিকদের কাছে এ ব্যাপারে তাঁদের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন। সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেন, ‘একজন প্রধান শিক্ষককে যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, এটা বাংলাদেশকে লাঞ্ছিত করার সামিল। প্রধান শিক্ষকের পরিচয় ছাড়াও তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। একজন সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেই তাঁকে এই বর্বর হামলার শিকার হতে হয়েছে। দোষী যে-ই হোক না কেন তাঁকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে এবং লাঞ্ছিত শিক্ষকের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার উদ্যোগ নিতে হবে।’
নাগরিক সংগঠন ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম বলেন, ‘একজন প্রধান শিক্ষকের গায়ে হাত তুলে সারা দেশের শিক্ষক সমাজকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর যথাযথ বিচারের দাবি জানান তিনি।