রমজানে ভোগ্যপণ্যের মজুদ পর্যাপ্ত, বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/05/17/photo-1463476854.jpg)
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রমজানে ব্যবহার হয় এমন ভোগ্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তাই বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক, উৎপাদকারী ও মিল মালিক এবং পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের সরবরাহকারী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, রমজানে দেশে ছোলার চাহিদা হলো ৬০ হাজার মেট্রিক টন। এই মুহূর্তে দেশে ছোলাসহ অন্যান্য ডালের মজুদ আছে দুই লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন। আবার রমজানে খেজুরের চাহিদা ১৫ হাজার মেট্রিক টন। খেজুরের মজুদ আছে ২৭ হাজার মেট্রিক টন। এভাবে রমজানের সব ভোগ্যপণ্যেরই মজুদ চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। তাই কোনো অজুহাতেই দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, রমজানের ভোগ্যপণ্যের মধ্যে আছে ছোলা, ডাল, চাল, আটা, চিনি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, খেজুর। রমজানে এই পণ্যগুলোর দাম যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মধ্যে সমন্বয় করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় পণ্য আমদানিকারক, উৎপাদকারী ও মিল মালিক এবং পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের সরবরাহকারী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ী সংগঠনের এই নেতরা রমজানে দাম না বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন। ভোগ্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে আমদানি ভ্যাট, পরিবহন খরচ এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাস দাম সমন্বয়ের সুপারিশ করেন ব্যবসায়ীরা।
সভায় ডাল আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, গতবার এই সময় তাঁরা ডাল বিক্রি করেছেন ৯০ টাকা কেজি। এখন মজুদ থাকা সত্ত্বেও কেন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দামে ডাল বিক্রি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে মন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।