বাগেরহাটে আশ্রয়কেন্দ্রে ১১ হাজার মানুষ

ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুর কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করতে বাগেরহাটের উপকূল এলাকার ১১ হাজারের বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে ও আজ শনিবার সকালে মাইকিং করে এবং স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে এসব মানুষকে সাইক্লোন শেল্টার বা আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনো এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
রোয়ানুর প্রভাবে মংলা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা ও মংলা উপজেলার ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে এসব মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আজ বেলা ১১টার পর থেকে বাগেরহাটে বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয়েছে দমকা হাওয়া।
সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে বেলা ১১টায় সর্বশেষ জরুরি সভা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮৪টি মেডিকেল টিম এবং ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূল ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করছেন বিভিন্ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরাও।
ডিসি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর থেকেই মংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্থানীয়দের নিয়ে আসার কাজ শুরু করা হয়। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার ও পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পশুর ও বলেশ্বর নদীতে নৌ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও মংলা কর্তৃপক্ষের সহায়তার জলযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে এগুলো ব্যবহার করা হবে।
মংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি জাহাজসহ সব ধরনের জলযানকে নিরাপদে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দরে নিজস্ব সতর্কতা এলার্ট থ্রি জারি করা হয়েছে।