তরুণীর গলা কেটে যুবকের আত্মহত্যা!

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাইক্রোবাসের চালক এক যুবক এ ঘটনা ঘটিয়ে নিজেও গলা কেটে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেছে ছাত্রীর পরিবার।
আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে নীলফামারী শহরের মশিউর রহমান কলেজের পাশে জোড় দরগা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজছাত্রীর নাম লিজা। তিনি শহরের পূর্ব কুখাপাড়া এলাকার জহুরুল ইসলামে মেয়ে। তিনি মশিউর রহমান কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
মাইক্রোবাসের চালকের নাম নয়ন (২৯)। তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার কিত্তনীয়াপাড়ার জোয়াদ মিয়ার ছেলে ও উত্তরা ইপিজেডের সনিক কোম্পানির গাড়িচালক। দুই সন্তানের জনক তিনি।
লিজার মা রেহেনা বেগম বলেন, “আজ প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে আমার মেয়েকে নয়ন রাস্তায় আটক করে বলে, ‘তুমি আমাকে বিয়ে করবে না?’ আমার মেয়ে অস্বীকার করলে সে তার পকেট থেকে ছুরি বের করে। এই দেখে আমার মেয়ে দৌড় দিয়ে পালাতে চেষ্টা করলে পড়ে যায়, সে সময় তখন নয়ন তাকে জবাই করে।”
নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান পাশা জানান, আজ সকালে প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরার পথে লিজাকে আটক করেন নয়ন। এ সময় তিনি বিয়ে করার প্রস্তাব দেন লিজাকে। লিজা এ বিয়েতে সম্মতি না দিলে নয়ন তাঁর পকেটে থাকা ছুরি দিয়ে লিজাকে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর নয়ন নিজেই নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।