ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়নি মংলার জনপদ

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি মংলা বন্দরসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায়। আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হেনে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করতে থাকে। এ সময় এর প্রভাবে মংলা বন্দরের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও দমকা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে থাকে।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই ধীরে ধীরে আকাশ পরিষ্কার হয়ে দেখা মেলে সূর্যের। সন্ধ্যা আসতেই আবারও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তবে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আর তেমন কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কারণ ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করতে করতে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে এর প্রভাবে উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের কথা বলা হলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত মংলার অবস্থা ছিল স্বাভাবিক।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখলেও কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার দিনভর কোনো ধরনের ক্ষতি না হলেও রাতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে রাতে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থেকে জানমাল এবং সম্পদ রক্ষায় নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য উপজেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আলী প্রিন্স।
ইউএনও বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এখানে কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি। তারপরও আমি সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে শুক্রবার রাত থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়। তবে বিকেলে আবহাওয়া তুলনামূলক ভালো হয়ে যাওয়ায় এবং ঝড়ে তীব্রতা কমে যাওয়ায় লোকজন বাড়িতে ফিরে আসছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে কেটে গেছে ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক। স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনেরও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।