চট্টগ্রামে বিমান ও সমুদ্রবন্দর চালু

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতের কারণে বন্ধ থাকা চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম চালু হয়েছে।
আজ রোববার সকালে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিমানবন্দরের যোগাযোগ কর্মকর্তা মো. উল্লাহ বাবলু জানান, সকাল থেকে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ শুরু হয়েছে।
সমুদ্রবন্দরের পরিচালক জাফর আহমদ বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। পণ্য ওঠানামাসহ সব কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোয়ানুর আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চট্টগ্রামে। এ অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১২ জন। প্রশাসনের দাবি, বন্দরনগরীর ক্ষতির পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা।
বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, আনোয়ারায় এখনো পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ। প্রশাসন বলছে, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ বাঁশখালী, আনোয়ারা উপজেলায় ৫০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি ও ১০০ কোটি টাকার পশু ও মৎস্যসম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে সন্দ্বীপ ও বাঁশখালীতে। নগরীর পতেঙ্গায় বেড়িবাঁধসংলগ্ন শতাধিক বাড়ি ও নেভাল সড়কের বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাণহানির বেশির ভাগই হয়েছে বাঁশখালীতে। বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জোয়ারের পানিতে ভেসে গিয়ে সাতজন প্রাণ হারান। তবে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।