মিন্টুর আয় বছরে ৫ কোটি, নগদ টাকা সাড়ে আট লাখ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর বিরুদ্ধে ১৩টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অতীতে আরো তিনটি মামলা ছিল। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেন মিন্টু।
হলফনামায় আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, তাঁর ১৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ছয়টি উৎস থেকে তাঁর বার্ষিক আয় প্রায় পাঁচ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এসব উৎসের মধ্যে রয়েছে কৃষি খাত, বাড়ি বা দোকান ভাড়া, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে পারিতোষিক, শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র ইত্যাদি।
হলফনামায় মেয়র পদপ্রার্থী বলেন, তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি প্রায় ৫৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর মধ্যে নিজ নামে নগদ টাকা প্রায় আট লাখ ৫০ হাজার, স্ত্রীর নামে সাত লাখ ৭৭ হাজার। স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ নয় কোটি ১২ লাখ টাকা। এ ছাড়া মিন্টুর স্থাবর সম্পত্তি চার কোটি ৪৫ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে এ সম্পদ ৫০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
হলফনামায় বলা হয়, মিন্টু ১৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এর মধ্যে একক ঋণ এক কোটি ৪০ লাখ টাকা। বাকি যৌথ ঋণ। এ ছাড়া দায়-দেনার পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি ১০ লাখ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়।
গত রোববার আইনজীবীর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ী আনিসুল হক।