নির্বাচনকে পঁচিয়ে দিয়েছে সরকার

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, নির্বাচন হলো গণতন্ত্রের বাহন। কিন্তু এই সরকার নির্বাচনকে এত বেশি পঁচিয়ে দিয়েছে তাতে আগামীতে আর কেউ নির্বাচনের কথা বলবে না। গণতন্ত্রের নামে এই সরকার তামাশা করছে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রোববার খুলনা মহানগরের হোটেল টাইগার গার্ডেন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান এ কথা বলেন।
তরুণদের গণআন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, যাদের ভোট করা লাগেনি বিনা ভোটে নির্বাচিত, তারা জাতীয় সংসদে এবং মন্ত্রী। অথচ জনগণের ভোটে নির্বাচিত সিটি করপোরেশনের মেয়ররা জেলে অথবা রাস্তায়।urgentPhoto
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এই সরকার নির্বাচনের নামে যা করতেছে, তাতে যারা এই নির্বাচন দেখতেছে, তাদের যদি বলেন, নির্বাচন করবেন? বলেন, না ভাই, এটা নির্বাচন হইলে এই নির্বাচনে নাই আমরা। নির্বাচন শব্দটাকেও পঁচাইয়া দেওয়া হইছে। আর নির্বাচন হলো গণতন্ত্রের বাহন। সেই বাহন যদি নষ্ট হয়ে যায়, গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে যায়। গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এই সরকার গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
এই প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনাদের চোখের সামনে প্রমাণ, আপনারা ভোট দিয়া মেয়রের আসনে বসাইছেন আমাদের জেনারেল সেক্রেটারি সাহেবকে (খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামন মনি)। বিপুল ভোটে জিতেন নাই উনি? খুলনার জনগণ চায় মেয়রের সিটে উনি বসবেন। কিন্তু সরকার ওনাকে বসতে দিবে না। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করেন নাই, এমন কাউকে দিয়ে মেয়র পদ চালায়।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সরকারের দমন-পীড়নের সমালোচনা করে বলেন, ‘যাদের ভোটে নির্বাচন করা লাগে নাই, নির্বাচনে ভোট করা লাগে নাই, বিনা ভোটে নির্বাচিত, তারা মন্ত্রী হইয়া, সংসদে সচিবালয়ে বসে। আর ভোটে নির্বাচিত আমাদের মেয়র সাহেবরা হয় জেলখানায় আর না হয় রাস্তায়। আর উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রবিরোধী দলের যারাই, প্র্যাক্টটিক্যালি তেমন কেউই কাজ করতে পারছে না। এটা গণতন্ত্র না। এটা গণতন্ত্রের নামে একটা তামাশা, খেলা।’
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সাবেক সংসদ সদস্য এম নূরুল ইসলাম দাদু ভাই, খুলনা সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র মনিরুজ্জামন মনি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম প্রমুখ।